Saturday, September 19, 2015

রাজরাণী হয়ে আছো ---- চোখের বালি।

রাজরাণী হয়ে আছো
---- চোখের বালি।

প্রেম তুমি কি আছো আগের মতো?
নাকি হারিয়ে গেছো সূর্য ওঠার শিশিরের মতো....
.
তুমি কি সেই আগের মতো.,
দুঃখ কষ্টে আমার জন্য কাঁদো??
.
নাকি দূরে আছি বলে মিথ্যা ছলনাই,
মায়াবী সুরে অট্ট হাসি হাসো??
.
তুমি কি এখনো অপেক্ষার প্রহর গোন??
নাকি অন্যো কারোর স্বপ্নের জাল বনো?
.
তোমার আবেগের পূর্ন শ্রোতা কি আমি?
নাকি অসহায় জীবনের কোন হাতছানি?
.
প্রেম তুমি কি সত্য এখনো আছো,?
নাকি অন্য কারোর রাজরানী হয়ে গেছো?
.
হলেও আমার না হলেও আমার,
কারন তুমি নয় কো আমার প্রমিকা,
তুমি শুধু আমার স্বপ্নের নায়িকা....

*** অস্থির চিন্তাভাবনা****

Tapos Sah
"" পৃথিবীর বালিকারা প্রথম প্রেমের মতো সর্বগ্রাসী প্রেম আর কিছুই নাই। প্রথম যৌবনে বালিকে যাকে ভালবাসে তাহার মতো সৌভাগ্যবান আর কেহ নাই। যদিও সে প্রেম অধিকাংস সময় অপ্রকাশিত থেকে যায়। কিন্তু সে প্রেমের আগুন বালিকাকে সারা জীবন পোড়াই""
.
----------- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।

"" সত্যি যেদিন পাখিকে খাঁচা থেকে ছেড়ে দিতে পারি সেদিন বুঝতে পারি পাখিই আমাকে ছেড়ে দিল। যাকে খাঁচায় বাঁধি সে আমাকে আমার ইচ্ছেতে বাঁধে, সে ইচ্ছের বাঁধন যে শিকলের বাঁধন থেকেও শক্ত""'
.
----------------- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
"" প্রেমের সাগরে নামার আগে জেনে নেওয়া ভাল এ সাগরের কোন তীরই হয় না""
.
---------সারসান সালানী
*
"" ভবিষ্যৎ দেখে প্রেম করতে চাইলে সে প্রেম সৃষ্টি হবে না।। আর ভবিষ্যৎ না ভাবলে প্রেমের পূর্নতা পাবে না। প্রেম হলো অগোচর সৃষ্টি অগোচর বিলিয়ে যাওয়া এক অনুভূতি। ""
.
--------------- চোখের বালি

*** অস্থির চিন্তাভাবনা****

**আকাশের প্রেমা** by Tapos Saha


২য় লেখা...গল্প..১৭
/০৯/১৫

**আকাশের প্রেমা**

........Tapos
আপনার বন্ধু হতে পারি??

আকাশ এমনি করে প্রেমার ফেসবুকে নক করলো।

প্রেমা- আপনাকে চিনিনা তো। কে আপনি?
আকাশ- মানুষ।
প্রেমা- সে তো জানি।।

বলে কি মনে করে একসেপ্ট কররো।
এর ১০ দিন পর প্রেমার জন্মদিনে আকাশ ২য় বার নক করলো। জন্মদিনের শুভেচ্ছা আর প্রেমাকে নিয়ে কবিতা দিয়ে।

যেটা ছিলো প্রেমার বার্থডে তে প্রথম উইস।

প্রেমা- বাহ দারুন কবিতা লিখতে পারেন তো?
আকাশ- কেমন কাটালে জন্মদিন।
প্রেমা- না তেমন ভাল না।
আকাশ- কেন?

প্রেমা- এমনি।। কি করেন আপনি?
আকাশ- পড়াশুনা। তুমি?

এভাবে পরিচয় পর্বে কেটে গেল ২ টা মাস। তারর মধ্যে আকাশ প্রেমা কে ভালবেসে ফেলেছে।। প্রেমা ও মনে মনে আকাশ কে.....

প্রাই ৬ মাস পর আকাশ ছবি চাই প্রেমার কাছে। আর প্রেমার কন্ঠ শোনার আকুল মিনতি যানাই।
.
প্রেমা- ছবি দিতে পারি কিন্তু নম্বর দিব না।
আকাশ- ওকে তাই দাও...
প্রেমা- কেমন দেখলে আমাকে?
আকাশ-তুমি অনেক সুন্দরী। মনে হচ্ছে রাজার রাজরাণী।

প্রেমা- হা হা হা হা তাই?
আকাশ- আমার তোমাকে ভাল লাগে...
প্রেমা- তো?
.
আকাশ- প্রেম করবা?
প্রেমা- হা হা হা হা এতো দিন কি করলে?/

এভাবে প্রেম শুরু হলো। প্রাই ৩ মাস ওরা এতো শেয়ার করলো কিন্তু দুজনের দেখা হলো না।
কিন্তু হঠাৎ করেই আকাশের পৃথিবী টা অন্ধকার হতে লাগলো।

প্রেমাকে যা বলে কার উল্টা রিএকসন করে... কেন যানি বুঝতে পারছে না প্রেমা কেন এমন করছে।
.
আকাশ- কাল রাতে ফেসবুকে আসলে যা যে?
প্রেমা- বিজি ছিলাম। দাদারা আসছিল তাই।
.
আকাশ- একবার নক করতে পারতে??
প্রেমা- কি বলবা বলো একটু বিজি..
.
আকাশ- কেন bf এর সাথে নাকি?
প্রেমা- ফাল্তু কথা বাদ দাও....

প্রেমার দূরে যাওয়াকে অনেক সুবিধা হলো।। কারন আকাশ তো আকাশে উড়ে যাবে...

পরের দিন
প্রেমা- আকাশ একটা কথা ছিল।
আকাশ- বলে ফেল..অনুমতি নিচ্ছো কেন?
,
প্রেমা- অভি ফিরে এসেছে।। ও এতো কেদেছে যে ওকে দেখে আমি নিজেকে সামলাতে পারিনি।। ও ওর ভুল বুঝতে পেরেছে। আমি কি করবো? ওকে আমি ফেরাতে পারবো না।

আকাশ- বুঝলাম।একটু কথা বলবা ফোনে আমার সাথে।। শেষ রিকুয়েস্ট।
.
প্রেমা- কাল বলবো।তুমি কষ্ট পাবা বলে আমি এতো দিন দূরে থাকতে চেয়েছি ……
.
আকাশ- ওকে মাথা টা ব্যাথা করছে। এখন বাই।। আর আমি রাগ করিনাই।
.
প্রেমা- আমি জানতাম তুমি রাগ করবা না।। আমার প্রথম প্রেম অভি তুমি তো জানতে।।
আর দুদিন পর পর মাথা ব্যাথা ভাল একটা ডাক্তার দেখাও.....
.
আকাশ- ওকে বাবু ওকে দেখাবো। তুমি এখন অভির সাথে কথা বলো। বেচারা কত দিন তোমার মিস্টি কন্ঠ শুনিনি।

এমন ভাবে আকাশ প্রেমা কে বললো যেন আকাশ রাগ/ অভিমান/ দুঃখ / কষ্ট কিছুই পাইনি।।
ওদিকে প্রেমা ও মনে মনে ভাবছে আকাশ কত ভাল একটু রাগ করলো না।

এভাবে আকাশ আর প্রেমার মাঝে অনেক বড় দুরুত্ব সৃষ্টি হল.
প্রেমা ফোন দিতে চাইছিল দেই নাই।

* আকাশ হঠাৎ মধ্যরাতে প্রেমাকে ফোন দেই।।কল ওয়েটিং।।
আকাশের শেষ ইচ্ছা ছিল প্রেমার কাছে শুনবে - একদিনের জন্য হলেও প্রেমা আকাশ কে ভালবাসে কি না*

কিছুক্ষন পর কল ব্যাক করলো প্রেমা- ঐ তুমি বোঝ না। আমি আমার মেঘনার সাথে কথা বলছিলাম আমার কথা বলার মধ্যে এতোবার ফোন দিলে কেন? লজ্জা বোধ আছে তোমার??
.
আকাশ- কিছু বলার জন্য চেষ্টা করলো...
.
প্রেমা একটানা বকা দিয়ে চলে গেল।
পরে ফোন টা ওপেন করে প্রেমা দেখে।
মাত্র একবার কল দিছে আকাশ। বাকি কল গুলা সব অভির।
.
মনে মনে খারাপ লাগছে প্রেমার।। বেচারাবে ঝারি দিলাম।
বলতে বলতে অভির ফোন.....

প্রেমা- ঐ এতো বার ফোন দিলে যে??
অভি- এখন কয়টা জুটাইছো।। এটা কত নম্বর মাল? নোংড়া ভাষায় গালগাল দিল অভি..
দিয়ে ফোন কেটে দিল।

** মনে মনে প্রেমা ভুল বুঝে আকাশের কাছে ফোন দেই।। ফোন বন্ধ। রাত অনেক প্রেমার কিছু ভাল লাগছে না।।
ফেসবুকে ঠুকলো
প্রথমেই আকাশের স্টাটাস
যেটা দেখার জন্য প্রেমা প্রস্তুত ছিল না।.......
.

প্রিয় প্রেয়সী প্রেমা,
শেষ ইচ্ছা টা এমনি ছিল তোমার মুখে সেই আগের মতো বলে ওঠা ডাক "" আকাশ আমি তোমাই ভালবাসী"""
শুনালে না তো।। তাও খুশি কারন আমি আজ রাতে তোমার কন্ঠ শুনতে পেরেছি।
যান প্রেয়সী আজ না আমি নতুন একটা পৃথিবীর বাসিন্দা হতে চলেছি। যাওয়ার আগে ভাল লাগছে আমার প্রেয়সী টাকে অন্যের হাতে তুলে দিতে পেরিছি। আমি জানতাম তোমার নিয়ে আমার আর টেনসন হবে না। কারন তুমি তোমার সব কিছু ফিরে পেয়েছো।।
কদিন ধরে মাথা ব্যাথা করছিল খুব।। ডাক্তার বলে কি যান প্রেয়সী,

আমার নাকি এই সুন্দর পৃথিবীতে আর এক চিমটি জায়গা নাই।
. মনে মনে ভেবেছিলাম তুমি লাল রং এ ওরনা পরে ম্যাচিং করে সাদা ড্রেস পড়বা আর সাথে আমিও লাল টি শার্ট।। এক পথে হাটবো দুজন।
সেটা হলো না প্রেয়সী।
আমি যে জিনিস টাকে বেশি ভয় পেতাম সেটা আজ আমার দুয়ারে দাড়িয়ে।।
কাল সকালে হয়তো অনেকের চোখের ময়লা টুকু মুছে যাবে আমার জন্য। তোমার যাবে কি?? মনে মনে ভাবছি যদি দেখতে পেতাম আমার এই উড়ো চিঠি টা পড়ে তুমি মিষ্টি শুরে হাসতে না কি করতে?.
যান প্রেয়সী,
আমার মায়ের জন্য অনেক খারাপ লাগছে কেমনো বাচবে ঐ মানুষ টা তার তো প্রথম ও আমি শেষ ও আমি।।তাকে কে সামাল দিবে।
সুযোগ থাকলে বলতাম আমাকে আমার জীবন টা ভিক্ষা দাও আমি বাচতে চাই, মন খুলে হাসতে চাই, সবাই কে হাসাতে চাই।।

কিন্তু আজ মনে হয় আর হবে না। আজ আমার যেতে ই হবে।।
ভাল থেকে সুখো সুখে থেকে।।
চিরকাল তোমাকে প্রেরনা দিতে চাইছিলাম। কথা রাখকে পারলাম না।

শেষ বেলা বলি,
আকাশের আকাশে তোর প্রয়জন ছিল,
তোর আকাশে আকাশের সুখ তারাটি নিভে গেল।

বিদায়
'' আকাশ'

চোখের বালি

Thursday, August 27, 2015

বৃষ্টি কল দিলো বিজয়কে...!!!!
.
বিজয় :- হ্যালো...!!!!
বৃষ্টি :- এই তুমি এতো কিপটে
কেনো,,কত গুলা মিসকল দিলাম,,
ব্যাক করলে না কেনো বলতো...???
বিজয় :- মোবাইলে ব্যালেন্স
নাই...!!!!
বৃষ্টি :- তো ইমারজেন্সি
ব্যালেন্স
এনে
কল করতা....!!!
বিজয় :- সেটাও শেষ...!!!!
বৃষ্টি :- ওহহ,, সকাল থেকে কল করছি,,
আর এই ভরদুপুর বেলা কল রিসিভ
করলা...!!!!
বিজয় :- ঘুমিয়ে ছিলাম...!!!!
বৃষ্টি :- এতক্ষণ কেউ ঘুমায়...????
ওরে
বিলাসিতা রে...!!!!
বিজয় :- এটা বিলাসিতা না,, এটা
মানিব্যাগ খালি থাকার
প্রতিক্রিয়া...
!!!!
বৃষ্টি :- মানে...????
বিজয় :- মানে ঘুমিয়ে থাকলে
ক্ষুধা
লাগে না....!!!!
বৃষ্টি :- তার মানে তোমার কাছে
দুপুরে খাওয়ার টাকাও নাই...????
বিজয় :- না,, তবে ম্যানেজ করে
ফেলছি,,২০
টাকা....!!!!
বৃষ্টি :- বিশ টাকা দিয়ে কি
খাবে
শুনি...????
বিজয় :- বিশ টাকা দিয়ে এক কাপ
চা,,দুইটা কেক আর একটা চকলেট
খাবো
দোকানদার একটা ভাংতি দিতে
পারবে
তাই...!!!!
বৃষ্টি :- এগুলা খাবা তুমি...????
বিজয় :- খাইতেছি...!!!!
বৃষ্টি :- কোথায়...!!!!
বিজয় :- টঙে বসে,, সাথে মুভি
ফ্রি...!!!!
বৃষ্টি :- কি মুভি...????
বিজয় :- হঠাৎ বৃষ্টি..!!!!
বৃষ্টি :- কার...??? ভিন ডিজেল
নাকি
স্ট্যাটহামের...???
বিজয় :- ফেরদৌস !!!
বৃষ্টি :- হা হা হা হা হা....!!!!
বিজয় :- হাসো কেনো....????
বৃষ্টি :- এমনি,,
আচ্ছা একটা হেল্প করবা...????
বিজয় :- কি বলো...????
বৃষ্টি :- তোমার ডাস বাংলা
এ্যাকাউন্টে
টাকা পাঠাচ্ছি,, একটা লোক কে
দিয়ে দিবা...????
বিজয় :- ঠিক আছে দিয়ে
দিবো...!!!!
বৃষ্টি :- ওকে,, এখন বাই...!!!
বিজয় :- ঠিক আছে,, বাই...!!!!
.
ব্যাংকে ৩০০০ টাকা আসার পর
বিজয় বৃষ্টিকে কল দিলো....!!!!
.
বিজয় :- হ্যালো,, টাকা
আসছে,,কাকে
দিবো...????
বৃষ্টি :- একটা রেস্টুরেন্ট এ
গিয়ে
এক
প্যাকেট বিরিয়ানি কিনবা, কোক
কিনবা আর বাকিটা পকেটে
রাখবা....!!!!
বিজয় :- তারপর...????
বৃষ্টি :- ওগুলা খাবা...!!!!
বিজয় :- তারপর...!!!!
বৃষ্টি :- তারপর হঠাৎ বৃষ্টি
মুভিটা
দেখবা....!!!!
বিজয় :- তারপর...???
বৃষ্টি :- পুরো মুভি টা শেষ হলে,,
মোবাইলে রিচার্জ করে আমাকে
কল দিয়ে মুভির কাহিনী
শোনাবা....!!!!
Tapos saha,s blog
www.fb.com/mmyvisionsbd

একটু একটু ভাল লাগা... তারপর শুধুই ভালবাসা
www.fb.com/mmyvisionsbed

.
কলেজের প্রথম বছর ছিল… পরিচয় হল… বন্ধুত্ব হলো… ভাল লাগলো… তারপর প্রেম নিবেদন…
তারপর শুধুই ভালবাসা| নাহ্! এত নিরামিষ ছিল না আমাদের গল্প| এত নিরামিষ হলে
হয়তো এভাবে সাতটা বছর পার করে দিতে পারতাম না দুজনে|
.
.
.
.

সেই সাত বছর আগের কথা… কিছুদিন হলো কলেজে ভর্তি হয়েছি| হঠাৎ অপরিচিত কারো একটা
ই-মেইল নজরে পরলো| খুব সহজ একটা ধাঁধা লেখা ছিল ই-মেইলে| সাথে একটা মোবাইল
নাম্বারো ছিল, আর লেখা ছিল যদি ধাঁধার উত্তর জানা থাকে তাহলে যেন সেই নাম্বারে
পাঠিয়ে দিই| ধাঁধার উত্তর লিখে পাঠিয়ে দিলাম আর জানতে চাইলাম তার পরিচয়, তবে ই-
মেইলের উত্তর ই-মেইলেই… মোবাইলে দিয়ে নিজের মোবাইল নাম্বারটা একটা অপরিচিত
মানুষকে দিয়ে বিপদে পরবো নাকি!!?? কিছুদিন পর আবিষ্কার করলাম ছেলেটা আমার
সেকশনেরই! কিন্তু কিছুতেই বুঝতে পারছিলাম না কে সেই শাখামৃগ যে আমাকে এত
দুশ্চিন্তায় ফেলে দূরে বসে মজা নিচ্ছে!!?? পরে জানতে পারলাম যার দিকে কখোনো
চোখই পরেনি, যার নামটাও কখোনো জানা হয়ে ওঠেনি ছেলেটা সেই… সানিয়াত… সানিয়াত
মোহাম্মদ সারোয়ার হোসেন|
.
.
বন্ধুত্ব হলো… খুব ভাল বন্ধুত্ব হলো… রাতে মোবাইলে কথা না বললে চলতোই না… ধীরে
ধীরে কখোন যে বন্ধুত্বটা দুর্বলতা হয়ে গেল বুঝতেই পারলাম না! হয়তো নিজেকে বা
ওকে বুঝতে দিতে চাইতাম না অনুভূতিটা| ভয় হতো… যদি বন্ধুত্বটাই হারিয়ে ফেলি!?
তবু মনের মাঝে কোন এক কোণায় হালকা ব্যথা অনুভূত হতো, যখোন ও ঐ সেকশনেরই সবচেয়ে
সুন্দর মেয়েটার কথা বলতো| হালকা ব্যথা বললে বোধহয় ভুল হবে… আগুনের একটু আঁচ
লাগলেই যেমন জ্বলা শুরু করে… আমারো তখোন ভেতরটা জ্বলতো! একটা কথা আছে না… “বুক
ফাটে তাও মুখ ফোটেনা”… ঠিক ঐ রকম!
.
.
জানুয়ারী ২০০৫ থেকে ডিসেম্বর ২০০৫… আমাদের বন্ধুত্ব আরো গাড়ো হলো… আমাদের ছোট
খাট পছন্দ অপছন্দ শেয়ার করা হলো| যদিও আমাদের ক্লাসমেটদের ধারণা আমরা তখোন
থেকেই প্রেম করি| ধারণাটা আরো গাড়ো হয়েছিল যখন ও ক্লাসের একটা ছেলেকে আমাকে
উত্তক্ত করার জন্য ঝাড়ি দিয়েছিল| ধারণাটা নি্শ্চিত সন্দেহের রূপ নেয় যখন আমি ওর
হাতে কলেজের বেলকনিতে দাঁড়িয়ে একটা চিঠি ধরিয়ে দিই| চিঠিতে কি লিখেছিলাম মনে
নেই, তবে সেটা কোনো প্রেমপত্র ছিল না এটা নিশ্চিত… সেটা ছিল ওর ওপর আমার
অভিমানের বহিঃপ্র্রকাশ মাত্র| ও আমাকে এখন প্রায়ই বলে চিঠিতে নাকি অসংখ্য বার
আমি লিখছলাম “আমি তোমার খুব ভাল Friend হিসেবে বলছি…”| সেদিন বৃষ্টি হচ্ছিলো...
চিঠিটা ওর পকেটে ছিল... বৃষ্টিতে আমার চিঠিটা নাকি ভিজে একাকার|তার কিছুদিন পর
আমি আমার ২য় বর্ষে কলেজ বদলিয়ে ফেললাম| ফিরে গেলাম আমার স্কুলেরই কলেজ শাখায়|
তারপর আমার মোবাইল হারিয়ে গেল… সাথে ওর নাম্বারটাও| সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন যোগাযোগ|
মাঝেমাঝে ই-মেইল Check করতাম… যদি ও কিছু পাঠায়… কিন্তু দীর্ঘশ্বাস ছাড়া কিছুই
পেতাম না| নিজেকে সান্তনা দিতাম… এই বুঝি ভাল হলো… Out of sight, out of mind!
.
.
প.র্ব : ২
.
.

জানুয়ারী ২০০৬ থেকে ২০০৬ ডিসেম্বর… এর মাঝে অনেক উত্থান পতন হয়েছে দুজনেরই…
এসেছে কিছু পরিবর্তন… ৪ বছর বয়স বেড়েছে… কলেজ শেষ হয়েছে… ২০০৭ এর জানুয়ারী থেকে
আমি মেডিকেল ছাত্রী হয়েছি আর ও হয়েছে ইঞ্জিনীয়ার ছাত্র| তখনো মাঝেমাঝে ই-মেইলCheck
করতাম… হঠাৎ ২৯ জানুয়ারী ২০০৭ একটা ই-মেইল নজরে পরলো… from Md. Sarwer
Hossain| আমি বিশ্বাস করতে পারছিলাম না| ই-মেইলটা ওর নতুন Address থেকে
পাঠিয়েছিল ওর Contact list এর সবাইকে| আমি আর সবাই এক হলাম!? এই ভেবে আর Reply
করা হলোনা| তারপর ২১ ফেব্রুয়ারী ২০০৭ আরেকটা ই-মেইল এলো| ই-মেইল পড়ে প্রথমে খুব
রাগ হলো… কারণ as usual সেখানে আমাকে Jealous করানোর মত কথা লেখা ছিল| ই-মেইলের
শেষ লাইন গুলো ছিল এরকম “SunSi dr ri porteSo khubi valo. amr amma Sune khub
khuSi hoiSe. kau dr hoiSe Sunle amma khuSi hoya jay, amder aaSe paSe Sob to
enginr tai. ajk to monehoy tmr bondo. ok valo thako.... bye… connection
raikho amak vuila gaSo ? ? ! ? ! ! ! ?” তখন কেন জানি আর রাগ করে থাকতে পারলাম
না… reply একটা করেই দিলাম| তারপর আবার শুরু হলো যোগাযোগ| ও যেমন আমাকে প্রায়ইJealous
করানোর মত কথা বলতো আমিও ওকে সব সময় Jealous করার চেষ্টা করতাম… কিন্তু ওর কোনো
প্রতিক্রীয়াই ছিলনা! খুব রাগ হতো আমার!
.
.

২০০৮ এর ১৩ ফেব্রুয়ারী… আমি ওকে “Yahoo!” তে Chat-এ বেশ ভয়ে ভয়ে জিজ্ঞেস করলাম,
“আচ্ছা, তোমার কাল কি কোনো Programme আছে?” ও বললো, “নাহ্, কাল কি Programme
থাকবে? কেন থাকবে?” আমি বললাম, “তাহলে আমরা কি কাল TSC-তে দেখা করতে পারি?” আমি
ভেবেছিলাম ও “না” বলবে| কিন্তু ও বললো “হ্যাঁ”!! বলে আমার বিপদ বাড়িয়ে দিল|
প্রচন্ড রকমের ভয় ভর করলো মাথায়| এতই ভয় আর উত্তেজনা পেয়ে বসলো আমায় যে আমার
হারিয়ে যাওয়া মোবাইলের সাথে যে ওর মোবাইল নাম্বারটাও যে হারিয়ে গিয়েছে সেটাও
ভুলে গিয়েছিলাম| আর হঠাৎ করে ওর নাম্বারটাও কিছুতেই মনে পড়ছিল না| কিন্তু
ততক্ষনে আমরা Sign out করে ফেলেছি| হঠাৎ মনে পরলো একটা ডায়রীতে ওর নাম্বার লিখে
রেখেছিলাম, কিন্তু কোনো লাভ হলোনা… ডায়রীটা খুঁজে পেলাম না| তাই ১৪ ফেব্রুয়ারী
২০০৮ TSC যাওয়া হয়েছিল ঠিকই, কিন্তু বইমেলার মানুষের ভীরে আমরা দুজন দুজনকে
খুঁজে পেলাম না| পরদিন “Yahoo!” তে ও আমাকে নাম্বার দিল… ঠিক হল ১৭ ফেব্রুয়ারী
দেখা করবো| আবারো সেই ভয় আর উত্তেজনা পেয়ে বসলো আমায়|
.
.
.
১৭ ফেব্রুয়ারী ২০০৮… তখন আমি হোস্টেলে থাকতাম| TSC গেলাম… একমাস ব্যাপি বইমেলা…
প্রচন্ড মানুষের ভীর| আমি পৌঁছেই ওকে ফোন দিলাম… ও কাছেই কোথাও ছিল… ৫ মিনিট
অপেক্ষা করতে বললো| এই ৫ মিনিটে আমার ভয় ক্রমোশ বেরেই চললো| মাথায় কত চিন্তা ভর
করলো! এই প্রথম আমি আর ও কোথাও এভাবে দেখা করতে যাচ্ছি… কতদিন পর দেখবো ওকে… ২
বছরের বেশি… ও কি পাল্টে গেছে… নাকি সেই আগের মতই আছে… ওকে চিনতে পারবো তো বা ও
আমাকে চিনতে পারবে তো!? এরকম কত ভয়…! তারপর অতি প্রতিক্ষীত ৫ মিনিট শেষ হলো…
দূর থেকে দেখেই চিনতে পারলাম ওকে| নাহ্! খুব বেশি পাল্টায়নি ও… তবে একটু মোটা
হয়েছে… মোটা বললেও ভুল হবে… স্বাস্থ্যটা একটু ভাল হয়েছে| ও কাছে এলো… আসার পর
আমি কিছুতেই ওর দিকে তাকাতে পারছিলাম না| ভয় অথবা লজ্জা… কিছু একটা কাজ করছিল|
লজ্জা পাচ্ছিলাম হয়তো লজ্জা নারীর ভূষণ বলে, আর ভয়… কারণ… ও যদি বুঝে ফেলে আমার
দুর্বলতা! সন্ধ্যা ৭.৩০ টা পর্যন্ত ছিলাম ওর সাথে| ও ওর স্বভাব সুলভ খুব নরমাল
আচরণ করছিল, আর আমি খুব চেষ্টা করছিলাম নরমাল হওয়ার… কিন্তু ব্যর্থ চেষ্টা! ও
আমাকে রিকশায় করে হোস্টেলে পৌঁছে দিয়ে গেল| হোস্টেলে ফেরার পর থেকে শুধু মনে
হচ্ছিল ও কিছু বুঝলো না তো!!?? সত্যিই তাই… ও সেদিন বুঝে গিয়েছিল… কিন্তু ও
আমাকে বুঝতেই দেয়নি যে ও বুঝতে পেরেছে|
.

.
.
.

একদিন কথায় কথায় মনে পড়লো আমি ওকে কলেজে থাকতে জোড়া ডলফিনের একটা শো-পিস Gift
করেছিলাম| লজ্জায় লাল হয়ে গেলাম… কি নির্লজ্জ মেয়েরে বাবা আমি! ও বললো ওটা নাকি
তখনি ওর Friend দের বিশেষ কৌতুহলের কারণে দুই টুকরা হয়ে গিয়েছিল| সাথে সাথে
আমার মনটাও দুই টুকরা হয়ে গেল| তারপর ও বললো সেটা নাকি ও আঠা দিয়ে জোড়া
লাগিয়েছে… তখন থেকে সেটা ওর Aquarium এ শোভা পাচ্ছে| এই কথা শোনার পর আমার মন
তো জোড়া লাগলোই… মনে হলো কোথা থেকে যেন হালকা একটা হাওয়া স্বজোরে একটা দোলা
দিয়ে গেল| মনে হলো… তাহলে কি ওর ও মাঝে দুর্বলতাটা কাজ করে!!?? তারপর থেকে আবার
শুরু হলো আমার “Mission : Making Him Jealous”| এবার বোধহয় কাজ হলো…


.
৩০ জুন ২০০৮… নাহ্! ১ জুলাই ২০০৮… ৩০ জুন ২০০৮ রাত ১২টার পর… সকালেই আমারAnatomy Prof Written exam|
ও আমাকে চমকে দিয়ে জিজ্ঞেস করলো, “অনু, তুমি কি কোনো কারণে আমার প্রতি Weak?”
যার সত্যিকার অর্থে মানে ছিল, “অনু, তুমি কি আমাকে ভালবাসো?” আমি কি উত্তর দিবো
ভেবে পাচ্ছিলাম… আমার কি বলা উচিত যে আমি শুরু থেকেই Weak!!?? আমি বললাম… “কি
হবে জেনে? তোমার কাছে আমার সব Problem এর Solution  আছে, কিন্তু এই উত্তরের
কোনো Solution নেই”| ও বললো… “বলেই দেখো… থাকতেও তো পারে”| আমি বললাম… “হ্যাঁ,
আছে তোমার কাছে কোনো Solution?” ও বললো… “এভাবেই চলতে থাকি… কপালে থাকলে হবে”|
নিজেকে খুব ছোট মনে হলো… মনে হলো “হে ধরণী! তুমি দ্বিধা হও, আমি তোমার ভেতর
প্রবেশ করি”!

.
পর্ব : ৩
.


ভাবলাম এবার বুঝি বন্ধুত্বটাও হারালাম! ভাবলাম আমার ধারণা বোধহয় ভুল ছিল|
কিন্তু না কিছুই শেষ হয়নি| ও খুব সহজেই যেকোনো ব্যপার সহজ করে ফেলতে পারে| আমরা
আবার আমাদের চিরাচরিত Friendship-টাকেই ধরে রাখলাম|

২০ অগাস্ট ২০০৮… পরীক্ষা শেষে বাসায় আসলাম| ঐদিন রাতেও ১২টার পর ফোনে কথা হলো|
হঠাৎ ও আমাকে বললো, “আচ্ছা অনু, ঐ যে ঐ টা একটু বলোতো”| আমি বললাম, “কি বলবো?”
ও বললো, “ঐ যে তুমি যেটা Feel করো… ঐ যে কি যেন বলে না একজন আরেকজন কে”| আমার
বুঝতে বাকি রইলো না যে ও আমাকে দিয়ে কি বলাতে চায়! ওর মুখে আমার নামের উচ্চারণ
শুনলেই তো আমার কাঁপাকাঁপি শুরু হয়ে যায়… আমি  সেখানে একটা মেয়ে হয়ে কিভাবে ওকে
এই কথাটা বলি!? আমি অনেক “না না” করলাম পর… অনেক ঢং করলাম …ও আমাকে বললো, “বলো
না একটু শুনি, দেখি কেমন লাগে!?” সব লজ্জার ডোর ছিড়ে বলেই ফেললাম… “I love
you”… এত speed এ বলেছিলাম যে নিজেই বুঝতে পারিনি যে ও বুঝলো কিনা! বলেই ওকে
কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে ফোন রেখে দিলাম| সেই রাত অনেক লম্বা ছিল… ঘুম-ই আসলোনা
!
.

.
২৩ অগাস্ট ২০০৮… রাত ১২টার বেশি বাজে… অর্থাৎ ২৪ অগাস্ট ২০০৮… খুব ভয়ে ভয়ে
লজ্জায় লজ্জায় ওর ফোন ধরলাম| আবারো ও শুনতে চাইলো… এবারো অনেক ঢং করার পর বললাম…
এবার ও শুনতে চাইলো পর পর তিনবার… আমিও লজ্জা শরমের মাথা খেয়ে বলে দিলাম| মনের
ভেতরটায় অদ্ভূত একটা ব্যথা অনুভব করলাম এই মনে করে যে “তুমি কি একবারও বলবা না?”
আমি যখন এই চিন্তায় মগ্ন তখন আচমকা কানে বেজে উঠলো ওর কণ্ঠস্বর… “অনু, তুমি
আমাকে মারবা!” জানিনা কোথ্থেকে এক ফোঁটা অশ্রু চোখের কোণে আশ্রয় নিল| ভাবলাম…
তাহলে কি ফুরালো আমার তিন বছর ছয় মাসের অপেক্ষার প্রহর? আমি যখন আবারো ভাবনায়
মগ্ন তখন আবার আচমকা কানে বেজে উঠলো ওর কণ্ঠস্বর… “ANU, I LOVE
YOU”…………………………………… মনে হলো আমার কর্ণ কপাট ভেদ করে সুমধুর সুর প্রবেশ করলো|
মনে হলো কেউ আমায় প্রেমের অমৃত সুধা গলধিকরণ করালো| আর সেই কেউ… আমার সানিয়াত
মোহাম্মদ সারোয়ার হোসেন|
.
.
এখন ও আমাকে মাঝে মাঝে বলে, “তখনই (কলেজে পড়ার সময়) তোমার weakness টা সামনে
আনতা, তাহলে আর এতদিন একা থাকতে হতো না… অবশ্য আমারই দোষ… আমি তখনই লাই দিলে
তখনই এটা সামনে আসতো|” ওকে jealous feel করানোর কথা উঠলে বলে, “আমি তো জানতাম
তুমি কি চাইতা... আর জানতাম বলেই jealous হতাম না আর তুমি আরো বেশি জ্বলতা… খুব
মজা লাগতো!” ফাজিল কোথাকার!
.
.
রপর কত ঝড় ঝাপটা গেল… দুজনের পরিবারে জানাজানি হলো| ওর মা-বাবা খুব সহজেই
মেনে নিলেন| আর আমার মা-বাবা ছিলেন প্রচন্ড প্রেম বিরোধী ছিলেন| কিন্তু আমরা
কোনোভাবেই হাল ছাড়িনি| আমরা জানতাম, আমার বাবা আমাকে প্রচন্ড ভালবাসেন… তাই
তিনি অপরিচিত একজনের হাতে মেয়েকে তুলে দিতে ভয় পাচ্ছিলেন| মা-বাবা ওর সাথে দেখা
করলেন… কথা বললেন… Impressed হলেন|

..
তারপর আর কি! তারপর…. এক সাথে পথ চলা… মাঝে মাঝে একটু একটু ভালবাসার ঝগড়া…
তারচেয়েও অনেক অনেক বেশি… সবকিছুর ঊর্ধে শুধুই আমাদের ভালবাসা|

.
.

- "আইরিন বিনতে আজাদ অনু"
Tapos Saha...........................

Tuesday, July 14, 2015

আমাদের ক্রিকেট

আজ আমাদের ক্রিকেট বিশ্ব বুকে মাথা তুলে দাড়িয়েছে।।অনেক শুভ কামনা তাদের জন্য......

Thursday, July 9, 2015

***** বৃষ্টি ***** For Bristi By Tapos

************ বৃষ্টি **********

নীল আকাশের বৃষ্টির অপেক্ষায় আছি
মনে হয় তুই আসবি মোর কাছাকাছি।।

তুই সুখ হয়ে মুসল ধারাই বইবি
আর আমার পথে হাত ধরে চলবি।।

যে পথে শুধু তুই আর আমি
নেই কোন কোলাহরের হাতছানি।।

কিছু সময় পর তুই বলবি
আমি কি তোর হতে পেরেছি??

উত্তরে আমি নির্বাক হয়ে চেয়ে থাকি
আর বলি না, তুই তো নীল আকাশের সঙ্গি।।

এতো দিনও বুঝলাম না তুই কে!
তোর মনে আছে সন্দেহেরর হাতছানি।।

তুই যদি সত্যি আমার হয়তিস
প্রশ্নটা মুখ দিয়ে না করলেও পারতিস।।

তখনি শুরু হয় বিজলির চমকানি
কানে শোনা যায় ব্রজের কন্ঠধ্বনি।।

বুঝলাম এবার বুঝি থামবে পথ চলা
শেষ কথা টা হয়ে গেল বলা।

তুই আমার আছিস, ছিলি ও থাকবি
আর মাঝে মাঝে মায়াবী শুরে ডাকবি।।

তোকে আমি সব সময় পেতে চাইনা
কারন আমি যানি তুই আমার না।।

তুই তোর বর্ষন সবার উজার কর
তবে আমাকে তুই করিস না পর।।

তার ( ঈশ্বর) কাছে এটায় শেষ চাওয়া
বৃষ্টির কাছ থেকে পৃথিবীর অনেক কিছু পাওয়া।।

আমি তোর কাছ থেকে কিছু না পেলেও
পৃথিবী যেন একবিন্দু বঞ্চিত না হয়।।

প্রকৃতির মাঝে তোর অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখিস
পারলে মন থেকে সবাই কে ভাববাসিস।

তোর জন্য ঈশ্বরের কাছে এটায়
আমার শেষ আশিষ।।
-------------ভাল থাকিস।।।।

*****প্রতিক্ষা* ***** By Suborna

*****প্রতিক্ষা******
---------স্বর্নালী অস্পরি
Suborna Biswas

তুমি আসবে বলে
পলাশফুল ফুটেছিল গাছে।

তুমি আসবে বলে
আজ পাখি গুলো গান ধরছে।।

পাতা ঝরা গাছ গুলোতে
নতুন পল্লব ধরেছে।।
বাতাস দিয়ে গেছে আমায়
ভালবাসার ছোয়া।

শীতের চাদর খুলে
বাসন্তী রংএর শাড়ি পড়ে
এক অস্পরি কণ্যা।।

যার কপালে টিপ
সূর্যের আলো হয়ে ঝরে পড়ছে।।

কাজল পরা ঐ দুটি চোখ যেন
আকাশের চাঁদ হয়ে আলোকিত করছে।।

তোমার মায়াময়ী হাসি যেন
কালন্ত বিকালের প্রশান্তি।।

তুমি কি সেই বাসন্তী
যার অপেক্ষাতে আছে আমি।।

স্বর্নালী অস্পরি ( ছদ্মনাম)

******অপেক্ষায়**** By TAPOS

******অপেক্ষায়****
TAPOS SAHA

আজ আমি তোমার বেধে দেওয়া সময়ে বন্ধী
না থাকাই তুমি, অপেক্ষায় আমার ক্লান্তি,।।

না থাকাতে কত টা কষ্ট ভারা সময় আমার
যেখানে তুমি ছাড়া চারিদিক সব অন্ধকার।।

ঘড়ির কাটা ঘুরেই চলে তভু তুমি আসো নাই
আমর আহব্বানে কেহয় সাড়া দেই নাই।।

কারন অসময়ের সঙ্গি ছিলে তুমি আমার
যে সময় সবাই ক্লান্ত না হয় ব্যস্ততায় করে পার।

অপেক্ষায় বয়ে যায় আমার সময়
দুচোখে ঘুমের দেখা নাই।।

চোখের বা

** এতো ভালবাসিস ***

** এতো ভালবাসিস ***

আমাকে তুই এতো ভালবাসিস বুঝিনি আগে
যার প্রমান পেলাম আজ একটু খানি রাগে।।

ভেবেছিলাম, আমার গুরুত্ব তুচ্ছ তোর কাছে
এখন দেখি নামটি আমার প্রথম সারিতে আছে

অন্যকে পেয়ে ভূলে গেছি তোকে হঠাৎ করে
ভালবাসা থাকবে তোর জন্য যাস যত দূরে।

আমার দেওয়া নামটিকে তুই এতো ভালবাসিস
ভাবিনি এটা নাম নয় তোর দেওয়া আশিষ।।

হারাবোনা তোকে হারিইনি তোকে
যত দিন আছে চলবো,তোর বাঁকে।

চোখের বা

****** প্রেরনার উৎস****

****** প্রেরনার উৎস**** কবিতার ছদ্মনাম

আজ এই বৃষ্টি ঝরা মেঘের তলে
বিকাল হলে রংধনু যেন উঠবে বলে..।

কই তুমি? কতদিন দেখিনি তোমায়!
নরম চোখে শান্ত হয়ে দেখতে তোমায় চাই।।

জানি তুমি অনেক রংএ ভরা
আর ঈশ্বরের হাতে রংতুলিতে আর্ট করা।।

তুমি নিস্পাপ, মন টা তোমার পবিত্রতায় আকা
তোমাকে পাওয়ার পথ কাটা ভরা আর বাঁকা।।

তুমি সুখি আর লক্ষী সাজের রাজরাণী
কষ্টট লাগে যখন কর রাগ হও অভিমানি।।

কাছে পাওয়ার ইচ্ছা নায় তোমায়
পাসে থেকো চিরদিন,,

দূর থেকে প্রেরনার উৎস হয়ে
আমার জীবন টা করো রঙিন।।

""ভাল থেকো প্রতিদিন""

চোখের বালি

Tuesday, July 7, 2015

**** প্রকৃতি****

**** প্রকৃতি****
 প্রেম কি করেছো প্রকৃতির সাথে,?
যার ভালবাসার প্রকাশ দিনে রাতে।

 প্রকৃতি যেন সততায় ভরা
নিঃস্বার্থ আর উদারতায় ঘেরা।।

 সে যেন আসে পাসে থাকে সব সময়
 তাকে পেতে লাগেনা ভয়, সমাজিকতায়।।

 ভেবে দেখ নীল আকাশের কথা,
সৌন্দর্যের সবটুকু দিতে তার নেই বাধা।

 বৃষ্টি হল প্রকৃতির এক শাখা
 বাতাসে ভাসতে লাগেনা পাখা।।

 সূর্যের নেয় কোন অভিমান
শুধু রাত্রি হলে তিনি অবসরে যান।।

 চাঁদ কে একবার দেখ মন দিয়ে
প্রেমের সবটুকু সাধ পেয়ে যাবে।।

 রংধনুর দেখা পাবে মাঝে মাঝে লাল
নীল সাত রং এ অপরুপ সাজে।

 জ্যোৎনা রাতে হেটে দেখ একবার
মনে হবে তোমার পাসে প্রাচুর্যেরর পাহাড়।

 সাগরের গর্জন শুনেছো কখনো?
 মনের মানুষের মিষ্টি কন্ঠ মিসানো।

 সব কিছু নিয়ে আমার প্রকৃতি
 তাকে আমি অনেক ভালবাসি।।

TAPOS SAHA.....

Tuesday, June 9, 2015

বন্ধুত্ব নাকি প্রেম? by TApos


পার্সোনাল ব্লগ- ২
 বন্ধুত্ব নাকি প্রেম? ফোনটা বাজতেছে। রিতা অপরিচিত কোন নম্বর থেকে ফোন ধরে না। ফোন বেজেই চলে। ১০/১২ বার রিং হয়। তারপর আর ফোন বাজে না। রাত ১২ টার দিকে রিতার মনে হল কে ফোন করলো? কেন ফোন করলো? নানান প্রশ্ন জাগে। ছোট্ট করে একটা মিস্টকল দেয় রিতা।

কিছুক্ষন পর কল ব্যাক......

 রিতা- কিছুক্ষণ চুপ করে রইলো। হ্যালো না বলে।
ছেলেটি- আপনি মিস্টকল দিলেন।এখন কথা বলছেন না. কে আপনি?

 রিতা- অনেকটা বিব্রত কন্ঠে বললো সকালে আপনি অনেকবার ফোন দিছিলেন তো তাই.
.
ছেলেটি- সরি আপু।।আসলে ভুল করে চলে গেছিল।

 রিতা- ইটস ওকে! নাম কি আপনার?
 ছেলেটি- রুদ্র..
 রিতা - শুধু রুদ্র? নাকি আগে পরে কিছু আছে?

রুদ্র- সরি! রুদ্রনীল রায়।
রিতা- ওকে রাখি..

 রুদ্র- শোনেন শোনেন.... আপনার নামটা বলবেন না?

 রিতা- অপরিচিত কাহকে পরিচয় দেই না।। রাখি।বাই।

 বলে রিতা ফোনটি রেখে দিল। ফোন রাখার সময় রুদ্র অনেক বার হ্যালো হ্যালো, প্লিজ শোনেন? এমন করেছে। রিতার ঘুম আসে না। মনে মনে ভাবে রুদ্র মনে হয় ফোন দিবে। কিন্তু আসেনা। পরের দিনও ফোন আসেনা। রিতার কেমন যেন হচ্ছে। মনে মনে খারাপ লাগছে। ইস নাম টা বললে ভালই হতো, কেন বললাম না? নানান চিন্তা।আর ভাবে রুদ্র সাধারন কোন ছেলে নয়।। পরেরদিন রিতা রাত ১ টার দিকে কল করে রুদ্রর নম্বরে। ওপাস থেকে

 রুদ্র-কেমন আছেন?

 রিতা- ভাল. আপনি?
রুদ্র- ভালই। হঠাপ আমার নম্বরে ফোন?

রিতা- ওকে তাহলে রাখি..?

রুদ্র- না না না।।আজ একবার শোনেন?

রিতা- বলেন?

রুদ্র- নামটা বলেন?

রিতা- নাম সব পুরা ঠিকানা বললো।

 দুজনের মধ্যে ভালই বন্ধুত্ব হয়ে গেল। দুজন দেশের দুপ্রান্তে। একজন রংপুর অন্যজন খুলনা। রুদ্র খুলনার একটা কলেজে ২য় বর্ষে পড়ে। আর রিতা সবে এইস এস দিবে। এভাবে চলতে থাকে ফোনে কথা হয় কম। হয়না বললেও চলে। তবে মোবাইলে sms এ সারাদিন মেসেজিং করতো দুজন। আর একসময় দুজন দুজনকে অনেক বেশি নিজের সম্পর্কে জানিয়ে দিল। রিতা রুদ্রকে তুমি করে ই বলতো। মাঝে মাঝে ঝগড়া বিবাদ হতে আবার মিটে যেত।তবে প্রচুর শেয়ার করতো দুজন। রিতার সারাদিন ঘটে যাওয়ার টুকরো ঘটনার একমাত্র সাক্ষী রুদ্র। এভাবে চলে যাচ্ছে দিন। এইস এস সি দেওয়ার পর দুজন ফেসবুকে চ্যাট ছবি শেয়ার করতো। এভাবে চলে দিন।দুজন দুজনকে অনেক বিশ্বাস করে। এতোটাই করে যে কখনো হারাতে চাইনা কেহ কাহকে। তবে কেহ কাহকে দেখিনি, স্পর্শ করিনি তভুও কত টান। এভাবে চার বছর কেটে যায়। মনে মনে রুদ্র রিতাকে আর রিতা রুদ্রকে ভালবেসে ফেলে।কিন্ত দুজনি ভাবে যদি বলি তাহলে ও যদি রাগ করে।।এমন ভেবে কেহ কাহবে বলে না। একপর্যায়ে রুদ্র একপা মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে জব পাই। তবে ঘটনাটি রিতাকে জানাই নাই। এদিকে রিতার বিয়ের জন্য পাত্র আসছে এ বিষয় টা রিতা রুদ্রকে বলেনাই। ফোন দিল রুদ্র

 রিতা- হ্যালো. কেমন আছো?

রুদ্র- সারপ্রাইজ আছে তোমার জন্য..

রিতা- কিন্তু আমার জন্য খারাপ সংবাদ আছে।

রুদ্র- ওকে আগে বল কি খারাপ সংবাদ? তারপর এটা দিয়ে ভাল করে দিব।


 রিতা- কাদতে কাদতে বললো বাবা আমাকে বিয়ে দিবে। আমি করবো।

রুদ্র- ( মাখার মধ্যে ঘুরতে লাগবো) মনে মনে ভাবছে বলে দিব মনের কথাটা। না থাক। কোন দিন সম্ভাব না।।

রিতা- চুপ করে রইলে যে?

রুদ্র- অহ।।।সরি। কন্ঠটা নরম করে বলে তুমি কি কাহকে ভালবাস? বলতে যেয়ে গলাটা কেপে গেলো রুদ্রর।

রিতা- তুমি বোঝনা?


 বলে রিতা জোর করে কান্না করতে লাগলো।

 রুদ্র- না বললে বুঝবো কেমনে?

 রিতা- I love You রুদ্র...

রুদ্র- কি বলবে বুঝে পারছে না।

কাদতে কাদতে রুদ্র বললো i love you.... রিতা। ইমোসন অবস্খায় চাকরির শুভ সংবাদ টা আর দেওয়া হলনা রিতাকে। ভাবছে রুদ্র। আর রিতা ঐ রাতে বাড়িতে বললো যে রিতা রুদ্রকে ভালবাসে।

রিতার বাবা বলে ছেলে কি করে শুনি?

রিতা- MBA শেষ।

চাকরি খুজতেছে।( কতক্ষণ রিতা জানেনা যে রুদ্র চাকরি পেয়েছে।)

 বাবা- বেকার? কি খাওয়াবে তোমাকে?

রিতা- চাকরি পেয়ে যাবে.. তাছাড়া ও আয় করে তো।

 বাবা- ওসব বাদ।কাল ঢাকা থেকে এক ছেলে পক্ষ আসবে রেডি থাকবা।আর তোমার ফোনটা দাও তো।


 রিতা- কেন? আমি ওকে ছাড়া কাহকে বিয়ে করবো না।

 তারপর রিতার বাবা রিতার গালে থাবা বসিয়ে দিয়ে ফোন নিয়ে নেই। রুদ্র শুসংবাদটা জানানোর জন্য রাতে ফোন দেয়।

রিসিফ করে রিতার বাবা বলে - তুমি এরপর থেকে আমার মেয়ের সাথে যোহাযোগ করবা না।।ওর ভাল জায়গায় বিয়ে হচ্ছে। যদি তুমি রিতার ভাল চাও তাহলে কাল তোমার কোন বন্ধুকে দিয়ে রিতাকে ফোন দিয়ে বলতে বলবা তুমি মারা গেছো।তাহলে ও সহজে তোমায় ভুলতে পারবে।সুখি হতে পারবে।

 রুদ্র- কি করবে কিচ্ছু বুঝতে পারছে না।

পরের দিন সকালে রিতায় আগে ফোন দিল। কিন্তু ফোনটা রুদ্রর বন্ধু তোলে আর বলে যে

 " রুদ্র গতকাল রাতে স্ট্রক করে মারা গেছে"

 রিতা প্রথমে বিশ্বাস না করলেও পরে বাধ্য হয় বিশ্বাস করতে। স্নেস লেস হয়ে পড়ে রিতা।


 কাহিনী ইতি হতে পারতো কিন্তু না। তারপর রিতা আর বিয়ে করেনি। মন মরা ভাবে দিন কাটাতো। আর রুদ্রকে নিয়ে ভাবতো। ভাবতো ও মরেনি, বেচে আছে।

 কেটে গেলো আরো ৩ টা বছর।


 রুদ্র এখন কোম্পানির উচ্চ পদে জব করে ঢাকাতে। আর কখনো রিতাকে খোজ নেয় নি কারন রুদ্র রিতাকে শুধু ভালবাসতো না ভাল রাখতে ও চাইকে। তাই আস্তে আস্তে রিতাকে ভুলে যায়।ভাবে সে হয়তবা ঘর সংসার করছে।


এবার কাহিনি মজার রুদ্রর কোম্পানিতে কিছু ভাল লোক নিয়োগ হবে। তো ভাইবা বোর্ডে রুদ্র। এক এক করে ডাক হয় ভাইবা হয় চলে যায়। পিয়ন যখন বললে রিতা মল্লিক আসেন।

 তখন রুদ্রর মনের মধ্যে স্যাত করে উঠলো। চিন্তা করতে করতে রিতার রুমে প্রবেশ। কি একটা অবস্থা.....

 রিতাকে দেখে রুদ্র উঠে দাড়ালো। সবাই অবাগ। আর রিতা মনে করলো আমি কি ঠিক নাকি ভুল দেখছি।



 দিজন কাছে এসে একবিন্দু দেরি না করে জরিয়ে ধরলো দুজনকে। রিতা চিৎকার করে কাধতেছিল।সাথে রুদ্র। অফিসের সবাই হতবাগ। তারপর বিয়ে.....


.সুখে সংসার দুজনে এইউ অফিসে জব করে। দিন চলছে সুখে তাদের লেখা-



চোখের বালি- ০১/০৫/২০১৫ রাত ৩টা

Saturday, June 6, 2015


বিভিন্ন ব্যবহারিক যন্ত্রঃ ডিম থেকে বাচ্চা ফুটানোর যন্ত্র ———- ইনকিউবেটর মোটর গাড়ির গতি নির্ণায়ক যন্ত্র ——— ওডোমিটার ঊড়োজাহাজের গতি নির্ণায়ক যন্ত্র ———- ট্যাকোমিটার সমুদ্রের দ্রাঘিমা নির্ণায়ক যন্ত্র ————- ক্রোনোমিটার সমুদ্রের গভীরতা নির্ণায়ক যন্ত্র ———— ফ্যাদোমিটার গ্যাসের চাপ নির্ণায়ক যন্ত্র ————— ম্যানোমিটার বায়ুমন্ডলের চাপ নির্ণায়ক যন্ত্র ———— ব্যারোমিটার দুধের ঘনত্ব বা বিশুদ্ধতা পরিমাপক যন্ত্র —– ল্যাক্টোমিটার উদ্ভিদের বৃদ্ধি নির্ণায়ক যন্ত্র ————– ক্রেসকোগ্রাফ ভূমিকম্প পরিমাপক যন্ত্র —————- সিসমোমিটার/সিসমোগ্রাফ বৃষ্টি পরিমাপক যন্ত্র ——————- রেইন গেজ বাতাসের গতি পরিমাপক যন্তের নাম ——– অ্যানিমোমিটার উচ্চতা নির্ণায়ক যন্ত্র ——————- অলটিমিটার উচ্চ তাপমাত্রা (সূর্যের) নির্ণায়ক যন্ত্র ——– পাইরোমিটার বায়ুর আর্দ্রতা পরিমাপক যন্ত্র ————– হাইগ্রোমিটার পানির তলায় শব্দ নিরুপণ যন্ত্র ———— হাইড্রোফোন Chokar Bali