Tuesday, April 19, 2016

একটা স্বপ্নের প্রিয়াঙ্কা)


একটা স্বপ্নের প্রিয়াঙ্কা)

by- চোখের বালি

বাস টা যে কখন ছাড়বে আর
ভাল লাগে না। এমন টা বসে
বসে ভাবছি আর কানে ইয়ার
ফোন লাগানোর পরিকল্পনা
করছি। এমন সময় কোথা থেকে
এক টুকরো সৌন্দর্য এসে
বললো.....
-- এই যে? আপনার পাসের সিট
টাতে কেহ আছে??
-- না কেহ নাই আপনি বসতে
পারেন।
.
-- থ্যাংক। কিন্তু আমি তো
জানলার পাসে বসবো
আমার আবার..........
-- বুচ্ছি বুচ্ছি। মেয়েদের এটা
কমোন ব্যাপার ওকে বসেন।
-
( মনে মনে ভাবছি কোন
রাজকন্যা এলো রে)
বাস ছাড়লো। আমি কেবল ভাল
ভাবে বসতে যাবো আর কানে
ইয়ার ফোন টা দিবো।সাথে
সাথে মেয়ে বললো-
-- আযিব তো আপনি?..
-- কেন কি হলো?? আমি কি
করলাম??
.
-- ন্যাকা।বুঝতেছেন না??
-- না। কি??
.
-- আমি জলজ্যান্ত মানুষ আপনার
পাসে আপনি কানে সাউন্ড
বক্স লাগাচ্ছেন.. সবাই যানে
আমানার ফোনে গান হয় এটা
নতুন করে দেখাতে হবে না।
.
-- তো কি করবো?? ( নরম সুরে)
--গল্প করুন..
-- আযোব চিনি না কি গল্প
করবো??
--আমি প্রিয়াঙ্কা। বাড়ি
যাচ্ছি..... আপনি??
-- হৃদান। বাড়ি যাচ্ছি।। আপনার
বাসা??
.
-- ঐ বাসা যেনে কি করবেন
যাবেন নাকি?? এ পযন্ত
জানলে হবে।
-- ওকে সরি..
-- আযিব তো। কিসের সরি??
-- আপনার বাসা জিজ্ঞাস
করলাম আপনি রাগ করলেন.।
--
প্রিয়াঙ্কা ওর ঠিকানা বলে
দিল তারপর আমার টাও বলতে
হলো মাত্র ৩০ কি:মি যেতেই
দুজনে এতো আপন করে নিলাম
যে মনে হলো।। প্রিয়াঙ্কা
আমার ছোট বেলার বন্ধবী।
কিছু পথ যেতেই ওর বমি শুরু হয়ে
গেল। মহাবিপদ।।কি করবো।।
মাথায় জল দিয়ে দিলাম। যাই
হোক বমি কমে গেল।।কিন্তু ওর
অবম্থা তো কাহিল।। নেতিয়ে
পড়ছে।।
.
এর মধ্যে ওর ফোনো বার বার
ফোন দিচ্ছে।।সে এক বিপদ
রিসিফ করবো কি না।।এদিকে
আমার বাড়ি প্রাই চলে
আসছে।।মাথায় কিছু আসছে।।
প্রিয়াঙ্কা তো ঘুমে যেন
রাজ্য জয় করছে।।
.
এর মধ্যে ওর যাওয়ার বাস
ভাড়া ৯০ টাকা আমি দিলাম।
যদিও ওর পার্টস টা আমার
হাতে ছিলো.. তভুও হাত দেই
নাই।।
.
আর সহ্য হলো না।।ওর ফোনে
আসা কল একটা রিসিপ করলাম--
Calling -- Baba GP
- হ্যালো..। আংকেল
প্রিয়াঙ্কা তো বমি করে একটু
অসুস্ত হয়ে পড়ছে তো আমি কি
করবো...?
-- আমি ওর মা বলছি।। কি হয়ছে
আমার মামনির।। বাবা তুমি
কে জয়ন্ত??
-- না আন্টি আমি হৃদান আমরা ---
(( এক কলেজে ---- বলতে গিয়েই
মাথায় আসলো প্রিয়াঙ্কা
তো মহিলা কলেজে পড়ে।।
কথা ঘুরাই বললাম আন্টি আমরা
এক কলেজের স্যারের কাছে
ব্যাচ করি।।আমার নাম হৃদান
.
-- ও তাহলে বাবা ওকে বাস
স্টপ পযন্ত এগিয়ে দিও।
-- আচ্ছা আন্টি চিন্তা করবেন
না।
এর মধ্যে আমার বাবা মা দাদু
দিদি ফোনের
উপর ফোন করছে। বললাম বন্ধুর
বাড়ি যাবো ফিরতে রাত
হবে।
এর মধ্যে প্রিয়াঙ্কা বলে
উঠলো-
-- রাতে হবে মানে?? মাকে
বলো কাল বিকালে ফিরবা।
-- এই তুমি সুস্ত?? বাবা কতটা
জ্বালান জ্বালালে আমাই
.
প্রিয়াঙ্কা বললো
জ্বালানোর দেখছো কি এখন
তো শুরু-
বলতে বলতে চলে এলাম। বাস
স্টপ। দুজনে নামলাম।।
দেখি চারিদিক থেকে লোক
জন আত্মীয় স্বজন ছুটে আসছে।।সব
প্রিয়াঙ্কার আত্মীয় স্বজন।
( মনে মনে ভাবছি আদরের
ননীর পুতুল)
প্রিয়াঙ্কা র সাথে কথা বলা
শেষ করে প্রিয়াঙ্কা র বাবা
মার সাথে পরিচয় করাতে
যাবে।তখনি
ওর মা বললো--
ওসব পরিচয় টরিচয় পরে হবে।
আগে বাড়ি চল তো।
আমি বাবা বলে সম্মোধন করে
বললো
-- চলো বাবা হৃদায়..
--উফপপপপ আন্টি আমি হৃদয় না
হৃদান।
-- ঐ হলো।।চলো তো।
( এর মধ্যে আমরা গ্রামের সেই
চার চাকা ভ্যানের পিছনে
দুজন বসছি আমি আর
প্রিয়াঙ্কা। মনে হচ্ছে কেন
যেন এক অদ্ভুদ রকম ভাল লাগছে))
মনে মনে কত কি ভাবছি...
হুট করে -
-
-
-ভ্যানটা একটা গর্তে পড়লে
হালকা ঝাকুনি তে
***********
আমার ঘুম টা ভেঙে গেল।
সাথে সাথে স্বপ্নটাও।তখন
নিজের উপর রাগ যা হচ্ছে uff
কেন এটা সত্যি হলো না??
Miss You প্রিয়াঙ্কা। স্বপ্ন না
হয়ে বাস্তব হলে ভালবাসি
তোমায় বলেই দিতাম.........
( একটা স্বপ্নের প্রিয়াঙ্কা)
চোখের বালি
 

No comments:

Post a Comment

Thanks